দুয়ারে রেশন - প্রকল্পের পরীক্ষামূলক সূচনা জামালপুরে

21st May 2021 6:53 pm বর্ধমান
দুয়ারে রেশন -  প্রকল্পের পরীক্ষামূলক সূচনা জামালপুরে


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : রাজ্যে ফের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ফিরলে  ’দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই অনুয়ায়ী তৃতীয় বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নেওয়ার পরেই শুক্রবার থেকে শুরু হয়েগেল ’দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প কার্যকর করার তোড়জোড় ।এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর সহ রাজ্যের ২৩ টি জেলার ২৮ টি জায়গায় ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসাবে চালু করা হল ’দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প । বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রেশনের খাদ্য সামগ্রী পেয়ে বেজায় খুশি হলেন উপভোক্তারা। প্রতুশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষার প্রেচেষ্টা শুরুর  জন্যে মুখ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানালেন জামালপুরের উপভোক্তারা । জামালপুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম বত্রিশ বিঘা ।   সেই গ্রামে এদিন সকালেই পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয় ’দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের কাজ। মালবাহী গাড়িতে রেশনের খাদ্য সামগ্রী লোড  করে নিয়ে পৌছে যান ডিলার।রেশন কার্ড আর ব্যাগ হাতে নিয়ে সেই গাড়ির সামনেই  লাইন করে দাঁড়িয়ে পড়েন উপভোক্তারা । গাড়িতেই বসানো ছিল ইলেকট্রনিক্স দাঁড়িপাল্লা।ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলার ফুড এ্যান্ড সাপ্লাই বাবুয়া সর্দার ,এলাকায় বিধায়ক অলোক মাঝি ,ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন , কর্মাধ্যক্ষ ভতনাথ মালিক এবং জামালপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাহাবুদ্দিন মণ্ডল প্রমুখের উপস্থিতিতে ২০ জন উপভোক্তার হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । এদিনের এই পরীক্ষামূলক কর্মসূচীর সমস্তটা ভিডিও রেকর্ডিং করা হয় ।  ঘরের কাছে দাঁড়িয়ে রেশন তোলা নিয়ে উপভোক্তাদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে । জামালপুর বিধনসভার বিধায়ক অলোক মাঝি এদিন বলেন ,“তৃণমূল সরকার পুনরায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে ’দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প  চালু করবেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তৃতীয় বারের জন্যে  মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় ’দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু কার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন ।এদিন তাঁর বিধানসভার বত্রিশ বিঘা গ্রামে পরীক্ষামূলক ভাবে সেই কর্মসূচী রুপায়িত হল । এই প্রকল্প চালু হয়ে গেলে গ্রামীন এলাকার মানুষজন বিশেষ ভাবে উপক্রিত হবেন বলে অলোক মাঝি মন্তব্য করেন “।  বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানান ,“রাজ্যের ২৮ টি ব্লকের মধ্যে জামালপুর ব্লকেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ’দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কর্মসূচী  সম্পন্ন হল।গোটা কর্মসূচী ভিডিও রেকর্ডিং রাজ্যে পাঠানো হবে ।বিডিও বলেন ,’দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প জনমানসে যে সাড়া ফেলেছে তা বত্রিশ বিঘা গ্রামের উদ্দিপনা এদিন প্রমাণ করে দিয়েছে“। 

 জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন বলেন,’বত্রিশ বিঘা সংলগ্ন জামালপুরের সেলিমাবাদ সমবায় সমিতি মাধ্যমে রেশন দ্রব্য বিলি বন্টন হয়। 
এই সমবায় থেকে সেলিমাবাদ ,মনসাডাঙা,
ডাক্তারপাড়া ও বত্রিশ বিঘা গ্রামের ৬ হাজার 
উপভোক্তা রেশনের খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করেধন । ‘দুয়ারে রেশন’  প্রকল্প চালু হয়ে গেলে এইসব এলাকার মানুষ প্রভূত উপকৃত হবেন ।  কাউকে আর দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে রেশন তোলায় ঝক্কি পেয়াতে হবে না“ । উপভোক্তা রেজিনা খাতুন বলেন ,“মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থাপনায় এবার তাঁদের রেশন তোলায় ঝক্কি পোয়ানোর দিন শেষ হতে চলেছে । এরজন্যে বত্রিশ বিঘা গ্রামের মহিলারা  কৃতজ্ঞ  থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে“ । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।